রাসেল গাজীর তিনটি কবিতা


 

মনের মানুষ

লেখক: মোঃ রাসেল গাজী


সকালবেলা তোমায় খুঁজি,

খুঁজি সারা দুপুর।

আলতা রাঙা পায়ে তুমি,

পড় যখন নূপুর।

নূপুরের ঝনঝনাঝন আওয়াজ,

শুনতে লাগে বেশ,

আরও ভালো লাগে আমার,

তোমার মাথার কেশ।


আকাশের দিকে তাকিয়ে,

তোমায় আমি ডাকি।

মনের গহীনে তোমার ছবি,

আপন করে আঁকি।

প্রকৃতির মাঝে তোমায়,

খুঁজি সারাবেলা।

কখনো করিও না,

আমার ভালোবাসা অবহেলা।


তুমি যদি হও আমার মনের মতন,

সারাজীবন আগলে রাখবো,

করবো আমি যত্ন।

কখনো হারিয়ে যাও আকাশে,

আবার কখনো চাঁদে,

তোমার হারিয়ে যাওয়াতে,

আমার মন কাঁদে।


কখনো তুমি হাসো,

সাগরের মত,

সেই সময় ভুলে যাই,

আমার দুঃখ যত।

কখনো গান গাও, কোকিলের সুরে।

শুনতে ভালো লাগে আমার,

বসে নদীর তীরে।


কখনো আসো তুমি, বাতাসের বেগে।

আবার কখন যেন হারিয়ে যাও,

আকাশের মেঘে।

কেন এমন করো, আমার মনের সাথে।

এই মন সারাক্ষণ,

তোমাকে ডাকে।




---


নির্যাতিত ছাত্র

লেখক: মোঃ রাসেল গাজী


রক্ত দিয়ে আঁকা,

রক্তের সাথে দেখা,

রক্তে হাত বুলাই,

আমার ভাইবোনের রক্তে রাঙানো,

১৫ জুলাই।


স্বাধীন দেশের মানুষ আমরা,

আবার আমরাই নাকি রাজাকার,

কথাটি শোনা মাত্র বুক করল হাহাকার।


চাকরি করতে শিক্ষা লাগে না,

যার আছে চাচা মামা।

বর্তমানে শিক্ষার কোনো মূল্য নেই,

এটাই সকলের জানা।


যোগ্যতা থাকলেও চাকরি হয় না,

এটাই আমার দেশ।

বসের চা-নাশতার খরচ দিতে না পারলে,

যোগ্য ব্যক্তি হয়েও চাকরি শেষ।


চায়ের বিল নাকি ১০ লাখ টাকা,

এটা তাদের কথা,

তাই তো চাকরির আশা বাদ দিয়ে,

মনে রাখলাম ব্যথা।


চাকরির আশায় সারা জীবন,

পড়লাম আমি বই,

কৃষকের ছেলে আমি,

বসের চায়ের বিল পাবো কই।


মুক্তিযোদ্ধারা সংগ্রাম করে

বাংলাদেশ করলো স্বাধীন,

বর্তমানে দেখা যায়,

মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ছাড়া,

সবাই পরাধীন।


অধিকার চাইতে গিয়ে,

আজ আমার ভাইবোনেরা নির্যাতিত।

ছাত্রছাত্রীরা অধিকার না পেলে,

কখনোই হবে না বাংলাদেশ উন্নত।


নির্যাতিত নাগরিক হয়ে,

একটা কথা বলে যাই,

স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে,

পাবো কি এদেশে ঠাঁই?




---


শুভ নববর্ষ

লেখক: মোঃ রাসেল গাজী


রাত ফেরালেই শুভ নববর্ষ,

নতুন দিনের ঘ্রাণ।

কৃষ্ণচূড়ার গন্ধে আমার,

জুড়িয়ে যায় প্রাণ।


ইলিশ আর পান্তা ভাতে,

জমবে আজকে বেশ।

দেখতে দেখতে হয়ে গেল,

পুরনো বছর শেষ।


নতুন বছরে নতুন করে,

থাকবো সবাই মিলে মিশে।

হিন্দু মুসলিম সবাই বাঙালি,

ভেদাভেদ থাকবে কিসে।


আমের এবার বিয়ে হবে,

পেতেছি কৃষ্ণচূড়া ফুলের ঘ্রাণ।

মাঠভরা ফাঁকা ফসল,

দেখলে জুড়িয়ে যায় প্রাণ।


বৈশাখী বিকেলবেলায়,

যাব আমরা মেলায়।

মাটির জিনিস কিনতাম আমরা,

আমাদের ছেলেবেলায়।


করতাম অনেক আনন্দ বৈশাখী মেলায়,

হাসিখুশিতে ভরে যায় বৈশাখী বেলায়।