দেশের ভঙ্গুর কাঠামো যদি এখন পরিবর্তন না হয়, তাহলে আর কখনোই হবে না। বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিদের আরও স্পষ্ট হতে হবে। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক দল যদি চাপ প্রয়োগ করে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত।
জুলাই-আগস্টে মানুষ শুধু নির্বাচনী সংস্কারের জন্যই রক্ত দেয়নি; তারা জীবন দিয়েছে ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্য উৎখাত করার জন্য। বাংলাদেশের গত ৫৩ বছরের ভঙ্গুর সংবিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি ও আইন সংস্কারের জন্যও তারা লড়াই করেছে।
এখন যদি পুরাতন বোতলে নতুন মদ ঢেলে ডিসেম্বরের নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, তবে এ দেশের ছাত্র-জনতা কখনো তা মেনে নেবে না। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার পূর্ণ সংস্কারের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারত, তাহলে কেউ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলত না।
আপনি নির্বাচন দিতে পারেন, তবে তার আগে আমরা সব সেক্টরে দৃশ্যমান সংস্কার চাই। তা না হলে নির্বাচন ২ বছর পর হোক—কিন্তু দেশের সঠিক সংস্কার হোক। প্রয়োজনে উপদেষ্টা প্যানেলের পরিধি বৃদ্ধি করা হোক, যেখানে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে, তবুও সঠিক সংস্কার নিশ্চিত করা দরকার।
এ দেশের ভঙ্গুর কাঠামো যদি এখন পরিবর্তন না হয়, তাহলে আর কখনোই হবে না। বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিদের আরও স্পষ্ট হতে হবে। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক দল যদি চাপ প্রয়োগ করে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা শুধু ক্ষমতার মসনদে বসতে মরিয়া, সেই সব লোভী ও দুর্নীতিবাজদের জনগণের সামনে উন্মোচন করতে হবে। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদকে রুখতে হবে এবং যারা ফ্যাসিবাদের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে।
দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক সংস্কারই প্রধান, দ্রুত নির্বাচন নয়।
ইয়াজ উদ্দীন
শাবিপ্রবি
Social Plugin