বাংলা: ১ আষাঢ়, ১৪৩২ | English: 15 March, 2025

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরের গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি


 নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে বোনের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রহমান রিমন (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 
 
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান রিমন নোয়াখালীর চরজব্বর থানার চরবাটা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরমজিদ এলাকার মো. হানিফের ছেলে। 
 র‍্যাব জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এক শিক্ষার্থীকে কলেজে যাওয়ার পথে রিমনের সহযোগী আজমীর ভুক্তভোগী কৃষক মামা বলে ডাক দিয়ে কাছে নেয়। এর পর তারা তাকে একটি সেভেনআপ খাওয়ায়। সেভেনআপ খাওয়ার পর ভুক্তভোগী প্রায় অচেতন হলে আসামিরা অজ্ঞাত স্থানে একটি বাসায় নিয়ে সকল আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তারপর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও কানে থাকা ৪ আনা ওজনের কানের দুল নিয়ে অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরলে সে বেগমগঞ্জের প্রাইম হাসপাতালের সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে সেখান থেকে বাসায় ফিরে।

তারপর তার মায়ের কাছে বিস্তারিত বললে তিনি মামলা দায়ের করেন। তারপর র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
 
 
র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা বারবার বিভিন্ন স্থানে নিজেকে আত্মগোপনে রাখে, যেন তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়। যদিও আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ইতমধ্যে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। 

Redirecting in 10 seconds...