( দেওয়ান রহমানকে উৎসর্গ করে )
শায়ন্তিকা
শায়ন্তিকা, তুমি জেগে থাক আমার শয়নে ;
বেঁচে থাক আমার কল্পনার জগৎ জুড়ে।
আঁখির দুয়ার বন্ধ হলেই সাদাকালো আকাশের বুকে
ডিম ডিম আলো জ্বলে ;
একাকিনী চাঁদ হয়ে তুমি থাক আমার একাকিত্বের ছাদ হয়ে।
ভব ঘুরে বেড়াই তোমারি স্বপনে।
সৌর কিরণ চোখে পড়ে, আঁখির দুয়ার যায় খুলে ;
ভাবি, এই বুঝি তুমি গেলা চলে, আশার সকল দুয়ার ভেদ করে।
ওমনি তুমি যাও বলে,
আমি তো তোমার সব কল্পনার দুয়ার দিয়ে গেলাম খুলে।
খুঁজে বেড়াইও আমায় কাশবনে, কোন এক জোছনার রাতে ;
খুঁজে পাবে আমায় বেলি ফুলের গন্ধে, কিংবা মাধবীলতার ভিড়ে ;
একগুচ্ছ রক্ত জবা রেখে এসো আমার শয়নগৃহের পাশে ;
রেণু গুলো যখন ছড়িয়ে পড়বে আমার শয়নগৃহে,
তখনি দেখবে আমি শয়ন্তনু পাখি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি
তোমার সাদাকালো জগত ভেদ করে এক রঙ্গিন জগতে।
অভাবিনী রায়
তুমি অভাবিনী রায়, তোমার কাছে নেই অভাবের অভাব ;
তোমার রাজ্য জুড়ে থাকে সুধুই হাহাকার।
নগর বাওলেরা তোমার রাজ্যে ধর্না দিতে গিয়ে হয়
ধর্মশালার সেবক ;
নিশাচরীরা তোমার রাজ্যে গিয়ে রাতকাণা হয়ে ফিরে আসে।
কোন এক ভরা পূর্ণিমায় হুতুম পেঁচা তোমার রাজ্য ঘুরে এসে
দিবাচর হওয়ার দাবি জানায়।
তোমার রাজ্যে বনলতাকে খুজতে গিয়ে
জীবনানন্দ পায় নির্জনতার সনদ।
তবে,তোমাতে ভ্রমনের নেশায় ছন্নছাড়া হয়ে পথে পথে
ঘুরে বেড়ায় সাহারায় মরুচরেরা, অশান্ত মহাসাগরে
পাগলপাড়া হয়ে আছে জলচরেরা ;
রণতরী নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কিউরেটরেরা।
তারা জানে তুমি যে অভাবিনী রায়,
তবে তারা জানে না তোমাতে যে অভাবের নেই বড়ই অভাব।
তবে তোমার জগত থেকে নির্বিকারচিত্তে ফিরে আসা
ভ্রমণ পিপাষুরা হয়ে উঠে একেকটা বিস্ফোরিত বোমা ;
যার বিস্ফোরণে নেই নিজের কোন অর্জন,
তবে জ্বালিয়ে দেয় নগর।
সেই নির্বিকারত্বের প্রতিক হয়েই আমি
তোমার নাম দিয়েছি অভাবিনী রায়!
Social Plugin